পদ্মা সেতু হয়ে যশোর-ঢাকা রেলসংযোগ প্রকল্পে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ দিনে দুবার যাতায়াতসহ মানুষের স্বার্থে কমপক্ষে আরও দুটি ট্রেনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় বৃহত্তর যশোর রেল উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে এই কর্মসূচিতে শহরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা রেলপথ অবরোধ করে দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ আটকে দেন।
পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাবি পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে এমন আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্রকল্পের নাম যশোর-ঢাকা রেলসংযোগ প্রকল্প হলেও এ প্রকল্পে যশোরের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন ব্যতীত অন্য কোনো ট্রেন যশোর স্পর্শ করে যাচ্ছে না। যশোর রেলস্টেশন হতে ১৩ কিলোমিটার দূরে পদ্মবিলা স্টেশনে গিয়ে যশোরের মানুষকে ঢাকাগামী ট্রেনে উঠতে হবে। এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না যশোরের মানুষ বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন।
রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ দিনে দুবার যাতায়াতসহ চুয়াডাঙ্গা দর্শনা এবং যশোরের মানুষের স্বার্থে কমপক্ষে আরও দুটি ট্রেনের দাবি করেন তারা। একইসঙ্গে এ প্রকল্পের নামে কেনা নতুন বগি ও ইঞ্জিন লাগানোর দাবিও করেন তারা।এ ছাড়া এ অঞ্চলে উৎপাদিত সবজি, ফুলসহ অন্যান্য কৃষি জাতীয় পণ্য বহনের জন্য আলাদা বগির দাবিও তাদের। দাবি পূরণ না হলে রেলপথ অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম বলেন, তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে এরই মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ আলোচনা হয়েছে। জনস্বার্থে তিনি অবরোধ তুলে নেয়ার দাবি জানান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk